পত্রিকার পাতা
ঢাকারবিবার , ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কর্পোরেট
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরির খবর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সব খবর

রমজানের রহমতের ১০ দিনে করণীয়

Main Admin
মার্চ ৩, ২০২৫ ৯:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রমজান মাস ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি মুসলমানদের জন্য একটি অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই মাসে সিয়াম পালন, দান-খয়রাত, আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভের চেষ্টা করা হয়। রমজানের প্রথম ১০ দিন বিশেষভাবে আত্মশুদ্ধির, প্রতিজ্ঞা নবায়নের এবং আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সময়।এখানে রমজানের প্রথম ১০ দিনে করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হলো:

১. নিয়মিত নফল নামাজ ও তাহাজ্জুদ রমজানের প্রথম ১০ দিনে নিয়মিত নামাজ আদায় করা এবং বিশেষত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া করা এবং তাঁর রহমত ও মাগফিরাত কামনা করা উচিত।

২. কোরআন তিলাওয়াত রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রথম ১০ দিনে দৈনিক কমপক্ষে ১ পারা কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত, যেন পুরো মাসে কোরআন শেষ করা যায়। এতে ধর্মীয় জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ হবে।

৩. তওবা ও আত্মশুদ্ধি রমজান হল আত্মশুদ্ধির মাস, এই সময়ে আল্লাহর কাছে তওবা করা এবং আগের পাপগুলোর জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত। প্রথম ১০ দিনে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে এবং প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, ভবিষ্যতে পাপের পথে হাঁটব না।

৪. সদকা ও দান-খয়রাত রমজান মাসে দান-খয়রাত করার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রথম ১০ দিনে যতটা সম্ভব গরিবদের সহায়তা করা উচিত। সদকা, ফিতরা, জাকাত আদায় করা এবং দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই মাসের মূল উদ্দেশ্যগুলোর একটি।

৫. সেহরি ও ইফতার সময় যথাযথভাবে পালন করা সেহরি খাওয়া এবং ইফতার করা রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। প্রথম ১০ দিনে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শক্তি বজায় রাখা এবং ইফতারি সময় নিয়মিতভাবে দোয়া করে খাবার গ্রহণ করা উচিত।

৬. নিজের নফস (ইচ্ছাশক্তি) নিয়ন্ত্রণ করা রমজান আত্মশুদ্ধি এবং আত্মবিশ্লেষণের মাস। প্রথম ১০ দিনে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা উচিত, যেমন রেগে যাওয়া, অহংকার বা গীবত থেকে বিরত থাকা।

৭. পূণ্য কর্মে মনোযোগী হওয়া এসময় বেশি বেশি ইস্তেগফার ও দু’আ করা উচিত। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর কাছে মনোযোগী হওয়া, এমনকি বাড়ি-পরিবারে শান্তি ও স্নেহ বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত।

৮. বাড়িতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা রমজানের প্রথম ১০ দিনে বাড়ির পরিবেশ পরিস্কার রাখা উচিত, বিশেষত পরিবারকে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য প্রার্থনা ও সক্রিয় মনোযোগী হতে হবে।

৯. রোজার গুরুত্ব পরিবারে শিক্ষা দেওয়া পারিবারিক সদস্যদের রোজার গুরুত্ব এবং এর সঠিক রীতি সম্পর্কে বোঝানো উচিত, যাতে সবাই সঠিকভাবে রোজা পালন করতে পারে।

১০. সতর্কতা ও সমতা বজায় রাখা রমজানে কঠোর বিধিনিষেধ থাকার পরও শান্ত ও সহিষ্ণু মনোভাব বজায় রাখা উচিত। বিতর্ক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা এবং এই পবিত্র মাসের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ঐক্য সৃষ্টি করা উচিত।

রমজানের প্রথম ১০ দিন আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই সময়টিতে জীবনকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করা যেতে পারে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।