সাভারে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু গৃহকর্মীকে ধারালো ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ গ্রেফতার দম্পতিকে রোববার দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসান সিকদার বিকালে জানান, ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হলেও আদালত ডা. কাজী ইসমাইলের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে শিশুর মা থানায় অভিযোগ দিলে নির্যাতনে অভিযুক্ত ডাক্তার চিকিৎসক দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার ডা. কাজী ইসমাইল বরগুনা সদর হাসপাতালে সহকারী সার্জেন হিসেবে কর্মরত আছেন। আটক তার স্ত্রীর নাম মাহমুদা খাতুন।
এর আগে শনিবার গৃহকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশকে না জানানোর শর্তে তাকে রাজাসন এলাকায় তার বাবা-মায়ের কাছে দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় অভিযুক্তরা।
ভুক্তভোগী শিশুর নাম মিম (১০)। সে সাভারের রাজাসন এলাকার ভাড়াটিয়া আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী শিশু মিম বলে- আমি ওই বাসায় প্রায় ১ বছর ধরে কাজ করছিলাম; কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই আমাকে মারধর করতে থাকে। সর্বশেষ আমাকে চুরির অপবাদ দিয়ে ছোট সরু ছুরি দিয়ে সারা শরীরে খুঁচিয়ে নির্যাতন করেছে। এছাড়া ব্যাট দিয়ে পায়ে ও মাথায় আঘাত করেছে। আমি নাকি দুই হাজার-এক হাজার টাকা চুরি করে আমার মায়ের কাছে দিয়েছি। এমন অপবাদ দিয়ে আমাকে প্রায়ই মারধর করেছে। পরে শনিবার আমাকে আমার বাড়িতে দিয়ে বাবাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, ভুক্তভোগীর সারা শরীরে নতুন ও পুরাতন ভোতা এবং ধারালো অস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সে হাসপাতালে ভর্তি থাকবে।