শীতকালীন সবজির ভরপুর সরবরাহে রাজধানীর বাজারে তৈরি হয়েছে ইতিবাচক চিত্র। সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতারা খুশি, আর বিক্রেতারাও জানাচ্ছেন, দাম কম থাকায় বিক্রিও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
- মূলা: ৩০ টাকা প্রতি কেজি
- শিম (বিচিসহ): ৪০ টাকা প্রতি কেজি
- শিম (সাধারণ): ৩০ টাকা প্রতি কেজি
- মিষ্টি কুমড়া: ৪০ টাকা প্রতি কেজি
- বেগুন (লম্বা): ৪০ টাকা প্রতি কেজি
- বেগুন (গোল): ৫০ টাকা প্রতি কেজি
- শালগম: ৩০ টাকা প্রতি কেজি
- ফুলকপি ও বাঁধাকপি: ২০-৩০ টাকা প্রতি পিস
- গাজর: ৫০ টাকা প্রতি কেজি
- আলু: ৩০-৪০ টাকা প্রতি কেজি
- কাঁচামরিচ: ৮০ টাকা প্রতি কেজি
- লাউ: ৫০-৭০ টাকা প্রতি পিস
সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি।
সারোয়ার আলম রাসেল, শান্তিনগর বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে বলেন, “বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন সবজি কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য হচ্ছে। ৩০-৫০ টাকার মধ্যেই সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে, ফলে পরিমাণেও বেশি কিনতে পারছি।”
সুজাউদ্দিন, মগবাজার বাজারের একজন ক্রেতা বলেন, “সবজির দাম সস্তা থাকায় আমরা এখন ভালো পরিমাণে কিনতে পারছি। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম এখনও বেশি, যা কম হলে আরও স্বাচ্ছন্দ্য হতো।”
সবজি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দাম কমার কারণে ক্রেতারা এখন দ্বিগুণ বা ত্রিগুণ পরিমাণে সবজি কিনছেন।
আব্দুল মালেক মিয়া, মালিবাগ এলাকার এক বিক্রেতা বলেন, “এক মাস আগেও সবজির দাম ছিল চড়া। তখন ক্রেতারা খুব কম পরিমাণে কিনতেন। এখন দাম কম থাকায় ১-২ কেজি করেও কিনছেন।”
তবে মৌসুমী না হওয়ায় কিছু সবজির দাম এখনও তুলনামূলক বেশি।
সবজির দাম কমে যাওয়ার ফলে বাজারে কেনাকাটার পরিমাণও বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে যারা আগে আধা কেজি সবজি কিনতেন, তারা এখন ১ থেকে ২ কেজি করে কিনছেন।
সবজির দাম কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও এভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা গেলে ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়বে। সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাড়ানো এবং পণ্যের সরবরাহ সুষ্ঠু রাখা এখন সময়ের দাবি।