হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপে শুভসূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ডানহাতি পেসার রিপন মণ্ডল ও অধিনায়ক আকবর আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় লাল-সবুজের দল।
শুক্রবার ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা হংকং ৮ উইকেটে তোলে ১৫০ রান। জবাবে বাংলাদেশ ১৮.২ অবারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
রিপন তৃতীয় ওভারে তুলে নেন হংকংয়ের দুই ওপেনার জিশান আলী ও অ্যানশি রাথের উইকেট। অধিনায়ক নিজাকাত খান বাবর হায়াতের সঙ্গে হাল ধরেছিলেন। নিজাকাতকে ২৫ রানে ফিরিয়ে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
আইজাজ খান, মার্টিন কোয়েৎজে ও নাসরুল্লা রানা দ্রুত সাজঘরে ফিরলেও চার নম্বরে নামা বাবর হায়াত বাংলাদেশকে ভোগাতে থাকেন। দ্বিতীয় স্পেলে দলীয় ১৮তম ওভারে বল হাতে নেয়া রিপন আরো দুই উইকেট তুলে নেন। বিপদজনক হয়ে উঠা বাবর হারাত ৬১ বলে ২ চার ও ৭ ছয়ে করেন ৮৫ রান। তার উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা। শেষদিকে ইহসান খান করেন ১৩ রান।
রিপন চার ওভারে ২৪ রান খরচায় পান ৪ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, রাজা, রাকিবুল হাসান ও রাব্বি। চার ওভারে ৪৪ রান দেওয়া রনি গড়েছেন বিব্রতকর রেকর্ড। ‘এ’ দলের হয়ে টি-২০তে তিনি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলার। ডাবলিনে ২০১৮ সালে উইকেটশূন্য থেকে ৪৩ রান দিয়ে আগে এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ পেসার শরিফুল ইসলাম।
রান তাড়ায় ৩১ রানে উদ্বোধনী জুটি গড়ে বাংলাদেশ। ইহসান খানের শিকার হওয়ার আগে ১১ বলে ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন ওপেনার জিশান আলম। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ সাইফ হাসান ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। প্রথম ওভারে ছক্কা হাঁকানো পারভেজ হোসেন ইমনের ইনিংস থামে ২৮ রানে।
এরপর তাওহীদ হৃদয় ও আকবর আলী জুটি গড়েন। ব্যাট হাতে আগ্রাসী ছিলেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর ইয়াসিম মুরতাজার এক ওভারে ২টি ছয় ও ২টি চার মারেন। তাদের ৫৪ রানের জুটির পর বিদায় নেন হৃদয়। ২২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় তিনি ২৯ রান করেন।
দলীয় ১২৯ রানের মাথায় বিদায় নেয়া আকবর ২৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৮৭.৫০ স্ট্রাইকরেটে ৪৫ রান করেন। বাকি কাজটা সারেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১৫ বলে শামীম ১৯ ও রাব্বি ৮ রান করেন। হংকংয়ের হয়ে ১২ রানে ৩ উইকেট নেন ইহসান। একটি করে উইকেট পান আতিক ইকবাল ও নাসরুল্লা।