চুয়াডাঙ্গায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে ব্যবসায়ী লাঞ্ছিত প্রতিবাদে  মিছিল সংবাদ সম্মেলন 

কাষ্টমস্ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোর এর প্রিভেনটিভ টিম কর্তৃক হয়রানি,শারিরীক-মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা  ও  মোটা অংকের ঘুষ দাবির বিরুদ্ধে  চুয়াডাঙ্গায় মানব বন্ধনসহ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে  চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মেসার্স বঙ্গ পিভিসি পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজ চুয়াডাঙ্গা এর ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান হাফিজ। লিখতি বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ২৪ বছর যাবৎ সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বিগত তিন অর্থ বছরে উৎপাদন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধকারী হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। ফ্যাক্টরিতে শতাধিক কর্মকর্তা – কর্মচারী  নিয়োজিত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ কাষ্টমস্ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোর এর প্রিভেনটিভ টিম কর্তৃক হয়রানির স্বীকার হচ্ছি। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের কাছে মোটা অংকের ঘুষ দাবীসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। গত ০৬ জানুয়ারি  যশোর কাষ্টমস্ প্রিভেনটিভ টিম আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসে প্রতিষ্ঠানের অফিসসহ আনাচে কানাচে তল্লাশির নামে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতের মত আচারণ শুরু করে এবং এক পর্যায়ে উক্ত টিমের সাথে আসা যশোর কাষ্টমস কমিশনারেট এর অতিরিক্ত কমিশনার রাকিবুল হাসান আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিকের নিকট মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবী করে। যেটা আমাদের মালিকের পক্ষে পরিশোধ করা আদৌ সম্ভব ছিলো না । তখন আমাদের মালিকের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে এক পর্যায়ে অতিরিক্ত কমিশনার রাকিবুল হাসান আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিক জনাব সেলিম আহমেদ কে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তাকে জোরপূর্বক তাঁর চেম্বার থেকে বের করে দিয়ে তার অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র  ক্ষতিসাধন করে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বঙ্গ পিভিসি পাইপের কর্মচারীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন ৫ কর্মদিবসের  মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি সহ আমরণ অনশন দিতে বাধ্য হবো। পর তারা অতিরিক্ত  জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।