ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক ও নানা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এবার বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব। তিনি জানালেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ ও হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে এবং সরকারিভাবে সঠিক তথ্য প্রকাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।হেফাজতে ইসলামের ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাজার হাজার নেতাকর্মী ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়। তৎকালীন সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেয় এবং গভীর রাতে একটি বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে তাদের সরিয়ে দেয়। তবে সেই সময় থেকেই নিহতের সংখ্যা ও ঘটনার প্রকৃত চিত্র নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
প্রেস সচিব জানান, “সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছিল, তবে ব্যাপক প্রাণহানির যে দাবি করা হয়, তা সত্য নয়।” তিনি আরও বলেন, “সরকারের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ছিল সীমিত, এবং বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ ছিল সংঘর্ষ ও হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলা।”তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়িয়েছে।” শাপলা চত্বরে অভিযান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই পরিচালিত হয়েছিল এবং কোনো গণহত্যা সংঘটিত হয়নি বলে প্রেস সচিব দাবি করেন।মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি অনেক সংস্থা ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী দাবি করেছিল যে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সরকারিভাবে নিশ্চিত মৃতের সংখ্যা অনেক কম। প্রেস সচিব বলেন, “সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।”
সরকার দাবি করেছে, “দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যই সে রাতে অভিযান পরিচালিত হয়েছিল এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্র রুখতে এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল।”প্রেস সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, শাপলা চত্বরে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য প্রচার করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আরও স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, প্রকৃত সত্য সামনে আনার জন্য সঠিক তথ্যভিত্তিক আলোচনা জরুরি।