পত্রিকার পাতা
ঢাকাসোমবার , ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কর্পোরেট
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরির খবর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সব খবর

জামিন পাওয়া সাবের হোসেন চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ৯, ২০২৪ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ছয় মামলায় জামিন পাওয়া সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘খুন ও গুমের শিকার শহীদ পরিবার’।

বুধবার (৯ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবের সামনে ‘খুন ও গুমের শিকার শহীদ পরিবার’-এর ব্যানারে এর আয়োজন করা হয়।

গত রোববার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় চারটি ও পল্টন থানায় দুইটি মামলা ছিল। এর মধ্যে খিলগাঁও থানায় দুটি হত্যা ও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা ছিল। আর পল্টন থানায় একটি হত্যা ও একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছিল। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত খিলগাঁও থানার মামলায় তার জামিনের আদেশ দেন। আর পল্টন থানার দুই মামলার আদেশ দেন বিচারক জিয়াদুর রহমান।

জামিন পাওয়ার পর প্রসিকিউশনের আসাদুল ইসলাম বলেছিলেন, সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আর মামলা না থাকায় তার জামিনে কোনো বাধা নেই।

পরে একই দিন সন্ধ্যায় মুক্তি পান সাবের হোসেন। কিন্তু সাবেক এই মন্ত্রীর জামিনের পর তার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করছেন ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্যরা।

তারা বলেন, আমরা সাবের হোসেন চৌধুরীর ফাঁসি দেখতে চাই। এজন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বলতে চাই যে, সাবের হোসেনকে আবার গ্রেপ্তার করা হোক। তাহলে আমরা ভাববো যে আপনারা নিরপেক্ষ সরকার।

খিলগাঁও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির বাবা ইয়াকুব আলী বলেন, আমার ছেলে কী অপরাধ করছিল যে তাকে মেরে ফেলতে হলো? আমার ছেলে রাজপথ কাঁপানো আন্দোলন করতো এটা উনার (সাবের হোসেন চৌধুরী) সহ্য হয়নি। এজন্য আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলের হত্যাকারী (সাবের হোসেন চৌধুরী) পাঁচ দিনের রিমান্ড থাকার পরও কীভাবে কারামুক্ত হয়ে যায়? আমার সন্তানের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি রাজপথে থাকব।

তিনি বলেন, আমি এই সরকারের কাছে জানতে চাই, আপনারা কার নির্দেশে চলছেন? আমরা জানতে চাই কীভাবে সে কারামুক্ত হয়ে গেল? আপনারা যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন আমরা ভেবেছিলাম আমরা বিচার পাব। কিন্তু আপনারা এটা কোন বিচার করলেন? আমরা চাই আবার তার কারাদণ্ড দেওয়া হোক। তার ফাঁসি কার্যকর করা হোক।

উল্লেখ্য, সাবের হোসেন চৌধুরী সর্বশেষ সংসদে রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। পালন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।নি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। অসুস্থতা, কারাবাস, চলাফেরায় অক্ষম ও বয়স বিবেচনায় আদালত ২০ হাজার টাকা বন্ডে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিনের আদেশ দেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আদালতের এমন রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা রাখি ভবিষ্যতেও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানিতে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এজলাসে উঠার পরেই দুই পক্ষের হট্টগোল শুরু হয়। এ ঘটনার পর এজলাস ছাড়েন তিনি। পরে দুপুর আড়াইটায় শুনানির সময় নির্ধারণ হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেরেনুর আলী বলেন, বিচারক এজলাসে আসার পরে দুই পক্ষের হট্টগোল হয়েছে। আমরা বলেছি, এই মামলাটা এই আদালতে অস্বাভাবিকভাবে আনা হয়েছে। গতকাল বিকেলে সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন মিত্রের আদালত থেকে সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের মামলাটি (মিস কেস) বদলি করে জেলা ও দায়রা জজে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী এই মামলা চলতি মাসের ১৪-১৫ তারিখ শুনানির কথা। কিন্তু হঠাৎ করে আদালতে এসে শুনি জামিন শুনানি আজ। এ বিষয়ে আমরা বাদীপক্ষ জানি না। এনিয়ে আজকে শুনানি করতে চাই না। অন্যান্য মামলার মতো এই মামলার শুনানির তারিখ পরবর্তীতে দেওয়ার জন্য আদালতকে বলেছি আমরা। কিন্তু আদালত আমাদের কথা শুনতে চাননি। আসামিপক্ষ শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য তোড়জোর করেছে। এটি নিয়ে হট্টগোল হয়েছে। পরে আদালতের বিচারক এজলাস থেকে নেমে গেছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।