নাম উম্মে সালমা হলেও সবার কাছে তিনি বেশি পরিচিত ঊষা নামে। বর্তমানে নিজের ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব এর প্রতিনিধি আবুল হাছানের সঙ্গে, তার উদ্যোক্তা-যাত্রার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হলো এখানে।
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের টুনিরহাট এলাকার ছোট্ট গ্রাম বানিয়াপাড়ায় জন্ম ঊষার। তিনি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পড়াশোনার ফাঁকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ‘ফেইরি’ নামে গাউনের একটি রেন্টাল ব্যবসা শুরু করেন, যেখানে নিজের সংগ্রহে থাকা গাউন এক-দুদিনের জন্য ভাড়ায় দিতেন। তবে পড়াশোনার ব্যস্ততায় সেই উদ্যোগ বেশিদিন চালানো সম্ভব হয়নি।
২০১৮ সালে ৪জন পার্টনার মিলে ‘ঢেউ’ নামে একটি উদ্যোগ শুরু করেন। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারনে তার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পরে, ২০২১ এ আবার শুরু করলেও নিজের চাকরি এবং পার্টনারদের সময় সংকটের কারণে উদ্যোগটি সেভাবে এগোতে পারেনি। অবশেষে ২০২৩ সালে পুরোদমে ঢেউ নিয়ে কাজ শুরু করেন। এখন ৫ বছরের চাকরি জীবনের ইতি টেনে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে এগিয়ে চলছেন তিনি।
ঊষা জানান, “অনেকে ঢেউ-কে ‘দেহ’ বলে ফেলেন, কারণ ইংরেজি বানানটা একটু আলাদা। আমরা আসলে স্কিনকেয়ার টুলস নিয়ে কাজ করি। প্রতিদিনের ত্বক ও চুলের যত্নে যে-সব টুলস ব্যবহৃত হয়, আমরা সেগুলো বিক্রি করি। আমাদের লক্ষ্য হলো নতুন কোনো প্রডাক্ট বাজারে এলেই তা দ্রুত ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং এক প্ল্যাটফর্মে সব পাওয়া নিশ্চিত করা।”
ফেসবুক পেজ থেকেই তারা প্রথম কাস্টমার পান। বর্তমানে তাদের টিমে ৪ জন পার্টনার ও ২৪ জন কর্মী রয়েছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ঊষা জানান, “আগামী ৫ বছরের মধ্যে ঢেউ-এর একটি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার থাকবে, যেখানে ক্রেতারা প্রডাক্ট ব্যবহার করে দেখতে পারবেন। আমরা ইতোমধ্যে ‘হাউজ অব হেনা বাই ঢেউ’ নামে একটি সিস্টার কনসার্ন চালু করেছি যেখানে নানা রঙের হেনা ট্যাটু পাওয়া যায়। সম্প্রতি ইউএসএ-তে প্যালেস ডিজাইন নামের আরেকটি ব্র্যান্ড লঞ্চ করেছি, সামনে আরও নতুন কিছু নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।”
ঢেউ এর পণ্য দেখতে তাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।