নওগাঁয় সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে পিতা ও তার পেটুয়া বাহিনী। এ ঘটনায় ভুক্তেভুগি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের গন্ধশাইল গ্রামে। তাই তিনি প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তাসহ আসামীদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সেতারা বেগম গত সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর নওগাঁ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নিয়ামতপুরের গন্ধশাইল গ্রামের ইসাহাক ইসলামের ছেলে হুজ্জাতুল্লাহ ওরফে বকুল এর সাথে একই গ্রামের সিরাজ উদ্দীনের মেয়ে সেতারা বেগমের বিয়ে হয়। এরপর বকুল বিদেশে চলে যায়। দীর্ঘ চার বছর পর দেশে এসে সেতারা বেগমের সাথে ঘর-সংসার করার সুবাদে পেটে সন্তান আসে। তখন বকুলের সাথে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় সন্তান নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে। এতে সেতারা রাজি না হলে বকুলের বন্ধুদের দিয়ে তার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এমতাবস্থায় বকুল তাকে অন্তঃসত্তা অবস্থায় রেখে পুনরায় বিদেশে যান। তিনি বিদেশে থাকাকালীন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের পর থেকে বকুলের পরিবার ও তার পেটুয়া বাহীনি দিয়ে সেতারা বেগমকে বিভিন্ন ভাবে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ, থানা ও গ্রামে বিচার দিয়েছেন অনেকবার। কিন্তু কেউ তার দাপটের কারনে সুষ্ঠ বিচার করতে পারেনি। এরপর বকুল দেশে আসলে তিনিও আবারো অত্যচার শুরু করে। নিরুপায় হয়ে সেতারা ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু বকুলের টাকার জোরে সেই অভিযোগটি প্রত্যাখান করায় নিরুপায় হয়ে সেতারা বেগম নওগাঁ আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাটি দীর্ঘদিন চলাবস্থায় বকুল সবকিছু মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে মেলামেশা করে। এরপর আবারো তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তাকে ছেড়ে আবারো বিদেশে চলে যায়। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর আবারো দেশে এসে সন্তানের ভরন-পোষন ও লোক সমাজে স্বীকৃতি দেবে বলে আবারো ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের উদ্দেশ্য ছিল তাকে ও তার মেয়েকে হত্যা করা। এসব বিষয় নিয়ে তাকে অনেকবার মারধর করে এবং আদালতে সেই মামলা চলমান রয়েছে। এরপর মামলার আসামী হুজ্জাতুল্লাহ ওরফে বকুল ও তার পেটুয়া বাহীনি তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজা ও টিনের চালা ভাংচুরসহ তাকে বেদম মারপিট করে। এমনকি তার মেয়েকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে সেতারা বেগম বলেন, এমতাবস্থায় তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনটি বকুলের পেটুয়া বাহিনী তাকে ধর্ষন করারও হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে বাসায় থাকতে ও রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারছেন না। বাসার বাহিরে গেলেও সব সময় বকুলসহ তার পেটুয়া বাহীনি ওঁত পেতে থাকছে। তাই তিনি প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তাসহ আসামীদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান। আর সেই সাথে মেয়েকে স্বীকৃতি প্রদানের দাবী করেছেন। নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দীন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত স্বপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।