জমিসংক্রান্ত বিরোধ–মীমাংসার কথা বলে নিজেই দখল করে নিতেন সেই জমি। এ যেন ‘বানরের রুটি ভাগাভাগি’র পুরোনো সেই গল্প। অন্যরা জমি বেচাকেনা করতে গেলেও তাঁকে কমিশন দিতে হতো। সরকারি প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণেও ছিল তাঁর হস্তক্ষেপ। বালুমহাল, জলাশয় ও উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গত ১৬ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ।
জুনাইদ আহমেদ পলক। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দুইবারের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে পলকের বিরুদ্ধে।
আইসিটি খাতের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে একাই বাগিয়ে নিতেন ১৫ শতাংশ কমিশন। এসব অনিয়মের অর্থে দেশে বিদেশে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চলমান অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ অনুসন্ধান করতেও সময় লাগবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দেয়া হবে।