পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন ও লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর’২৪-ডিসেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্যেও ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) সময় চেয়ে আবেদন করেছে কোম্পানিটি।
সামিট পাওয়ারের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সামিট গ্রুপ ও সামিট পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বর্তমান অবস্থার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সামিট করপোরেশন লিমিটেড নিজস্ব মালিকানাধীন ২,২৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে। এ ছাড়া সামিট ৫০০ এমএমসিএফ/ডি ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) পরিচালনা করে।
সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীনে এই ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড (এসপিএল) মোট ৯৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক।
বর্তমানে, আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় অবস্থিত তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (মোট ৩৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন) জাতীয় গ্যাস গ্রিড থেকে সরবরাহে ঘাটতির জন্য শাটডাউন মোডে আছে। যদিও “নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট” ভিত্তিতে ২১শে নভেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সাথে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে।
চলতি বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বিপিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুতের চাহিদা না থাকায় নারায়গঞ্জে অবস্থিত মদনগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্টটি (১০২ মেগাওয়াট, হেভি ফার্নেস ওয়েল-চালিত) শাটডাউন মোডে আছে।
২৪ জুন, ২০২৪ তারিখে বিপিডিবির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) প্রাথমিক মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে জাঙ্গালিয়া পাওয়ার প্ল্যান্ট (৩৩ মেগাওয়াট গ্যাস-চালিত) বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য, বিপিডিবি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি (পিপিএ) নবায়ন কিংবা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
বর্তমানে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মালিকানাধীন ৮০৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন অন্য মোট ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল আছে।
পৃথকভাবে, মোট ১,২৭৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সামিটের তিনটি টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্র যথাক্রমে, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট মেঘনাঘাট ২ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের পাশাপাশি ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) চালু রয়েছে।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড অর্থ বছরের শেষে (৩০শে জুন ২০২৪ তারিখে) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী প্রদানের পাশাপাশি লভ্যাংশ ঘোষণা করার জন্য ৩১শে মার্চ ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড আশা করছে এপ্রিল-মে ২০২৫ এর মধ্যে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।