ঝালকাঠির গাবখান নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত ৮ বিঘা জমিতে শুরু হয়েছে তুলা চাষ, যা এখন কৃষকদের জন্য এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উৎস। ২০১১ সালে যশোর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় পরীক্ষামূলকভাবে তুলা চাষ শুরু হলেও এখন এটি সফলতার সঙ্গে চলমান এবং কৃষকদের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
গাবখান এলাকায় ১৫ বছর ধরে তুলা চাষে সফল কৃষকরা এখন ভালো আয় করছেন। জমি লিজ নিয়ে কৃষির আওতায় এনেছেন উদ্যোক্তারা, যা একটি বিস্তৃত কৃষি এলাকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। বর্তমানে এই অঞ্চলে তুলা ছাড়াও পেয়ারা, মাল্টা, কলা, সৌদি আরবের খেজুরসহ নানা ফলের চাষ হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, তুলার চাষের জন্য তারা আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বীজ বপন করেন এবং চৈত্র-বৈশাখ মাসে তুলা সংগ্রহ করেন। গত বছরে একর প্রতি ১০-১৫ মণ ফলন হয়েছে। তবে, গত বছর রিমেলের কারণে অনেক গাছ নষ্ট হলেও এ বছর নতুন করে আবাদ শুরু হয়েছে এবং ফলন তেমন কমেনি।
এই উদ্যোগে স্থানীয় কৃষক ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থানও হয়েছে। আব্দুল হালিম, একজন জমি লিজ নেওয়া কৃষক, জানান, তিনি ২০১১ সালে শুরু করেন এবং এখনো অনুকূল পরিবেশে চাষাবাদ করছেন। তুলার বিক্রি মিল মালিকদের কাছে করা হয় এবং তাদের মজুরি দিয়ে স্থানীয় দিনমজুরদের জীবিকা নির্বাহে সাহায্য করা হয়।
এছাড়া, যশোরের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এস.এম. জাকির বিন আলম বলেন, ঝালকাঠি থেকে তুলা সংগ্রহ করে যশোরের ঝিকরগাছার একটি কারখানায় প্রক্রিয়া করা হয়। এতে স্থানীয় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন এবং তুলা চাষের মাধ্যমে তারা একটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।
ঝালকাঠির গাবখান অঞ্চলের তুলা চাষ স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি নতুন জীবিকা সৃষ্টি করেছে, যা এখন একটি সফল কৃষি উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।