পত্রিকার পাতা
ঢাকাশনিবার , ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কর্পোরেট
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরির খবর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সব খবর

দখলবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

Main Admin
মার্চ ৯, ২০২৫ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দেশের নদ-নদী ও পাহাড়-বনভূমিগুলো যে যেভাবে পারছে, গ্রাস করে নিচ্ছে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় ও সরকারি এত তদারকি প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষ থাকা সত্ত্বেও সেগুলো আমরা রক্ষা করতে পারছি না। শত শত বছরে গড়ে ওঠা বনভূমিগুলো এমনভাবে উজাড় হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না। শেরপুরের গারো পাহাড়ের বনভূমিগুলো এখন ঝুঁকির মুখে। বনের জায়গা দখল করতে দুর্বৃত্তরা সেখানে বনভূমি পুড়িয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের কাংশা ইউনিয়নের অন্তত পাঁচটি এলাকায় বিস্তীর্ণ বনভূমি আগুনে পুড়ে গেছে। এতে জঙ্গলে বসবাস করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা আগুনে পুড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে। গত বুধবার থেকে ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট, দরবেশ টিলা এলাকার বিস্তৃত শালবনে অন্তত ২০টি স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে উপকারী কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়সহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও চারাগাছ পুড়ে গেছে। বন বিভাগের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে শুক্রবার আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও স্থানীয় পরিবেশ সংগঠকেরা বলছেন, গারো পাহাড়ের বনভূমিতে এ অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল গারো পাহাড়ে শালবন ও বন বিভাগের জমি দখলের তৎপরতা শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে দুর্বৃত্তরা বনের গাছ কাটার সুবিধার্থে ইচ্ছা করে আগুন লাগিয়ে দেয়। শুকনা মৌসুম থাকার কারণে শালবনের ঝরাপাতা এবং শুকনা
ছোট গাছপালায় সহজে আগুন লেগে যায়। ফলে বনের শালগাছ সহজে কাটা সম্ভব হয়। আর এ সুযোগে অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে লাখ লাখ টাকার গাছ কাটার পাশাপাশি বনের খালি জায়গা দখল করে বসতি স্থাপন করে।

তবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের দাবি, বনে পর্যটক ও গরুর রাখালদের বিচরণ থাকায় তাঁরা যে বিড়ি বা সিগারেট খান, তা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এ বিষয়ে মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশ সংগঠকদের ভাষ্য আমাদের শঙ্কিত করে তুলেছে। যে স্বার্থান্বেষী মহল বনভূমির জায়গা দখল করতে চায়, তাদের থামাতেই হবে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রভাবকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। অভিযোগ তদন্ত করে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক। গারো পাহাড়ের বনভূমিগুলো যেভাবেই হোক আমাদের রক্ষা করতে হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।